কিশোরগঞ্জ, বৃহস্পতিবার: কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ৯টার দিকে শহরের খরমপট্টি এলাকায় ছাত্র-জনতার একটি দল হামলা চালিয়ে তার বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে সন্ধ্যার পর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং পরে সেটিকে ‘পাবলিক টয়লেট’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এছাড়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি চৌরাস্তা মোড়ে সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ চার নেতার ম্যুরাল এস্কেভেটর দিয়ে ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা সদর বাজার মোড়ে স্থাপিত সাবেক চার রাষ্ট্রপতির ম্যুরালেও হামলা চালানো হয়। এ সময় সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাদের দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নেন। একই দিন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, “শত শত ছাত্র-জনতার হত্যার পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। ভারতে পালিয়ে গিয়েও শেখ হাসিনা দেশবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব রাখা হবে না।”
এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।